নতুন আরো ৪ টি সরকারি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন।
রোববার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নওগাঁ, নেত্রকোণা, মাগুরা ও নীলফামারীতে এই চার মেডিকেল কলেজ হবে।
এছাড়া চাঁদপুরে মেডিকেল কলেজ করার আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আসন্ন ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকেই আড়াইশ শিক্ষার্থী নতুন পাঁচ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
নতুন এই পাঁচ মেডিকেল কলেজ নিয়ে দেশে সরকারি চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৬টিতে। এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও ছয়টি মেডিকেল কলেজ পরিচালনা করছে।
বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বেসরকারি খাতে মেডিকেল শিক্ষার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ শুরু হয়। বর্তমানে দেশে ৬৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এমবিবিএস ও বিডিএস ডিগ্রি দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ করে দেবে।
নতুন পাঁচ কলেজ হলে দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মোট ৪ হাজার ৬৮ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। আর বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ছয় হাজার শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশে ১৭টি সরকারি এবং ৩৩টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ছিল।
সেই সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হওয়ায় প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক নবীন চিকিৎসক পাচ্ছে বাংলাদেশ, কিন্তু অ্যানাটমি, সাইকোলজি ও ফরেনসিক মেডিসিনের মত মৌলিক বিষয়ের পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে নতুন মেডিকেল কলেজগুলোর শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেছে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অনুমোদন দেওয়ার আগে তারা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন ওই পাঁচ জেলার প্রতিটিতেই আড়াইশ শয্যার হাসপাতাল আছে এবং আরও ডাক্তার সেখানে প্রয়োজন।
মন্ত্রীর এই যুক্তির পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরা যখন কোথাও নতুন মেডিকেল কলেজ করি, সেখানে আমরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে যেতে পারি। এর ফলে ওই এলাকার সামগ্রিক স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতির উন্নতি হয়। প্রতিটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই আমরা মানুষকে বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা দিতে পারি।”
নতুন চিকিৎসকের প্রয়োজন কমে এলে এসব মেডিকেল কলেজের আসন কমিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান অনুযায়ী প্রতি দশ হাজার মানুষের জন্য অন্তত ১২ জন ডাক্তার থাকা উচিৎ, কিন্তু সেখানে আমাদের আছে মাত্র চারজন।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, আসছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নতুন সাত হাজার ডাক্তার নিয়োগ পাচ্ছেন এবং তাদের দায়িত্ব শুরু হবে গ্রামাঞ্চল থেকে। সেখানে তাদের কাজ করতে হবে অন্তত তিন বছর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছে অক্টোবরেই চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটে নতুন তিন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দশ তলা নতুন ভবনের ভিত্তি স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
আর ১৩ অক্টোবর ঢাকায়
৫০০ শয্যার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটেরে উদ্বোধন করবেন।
Disqus comments