৪ শতাধিক ক্ষতিকর এপ্লিকেশন সরিয়ে ফেলেছে ফেসবুক!

সম্প্রতি ফেসবুক থেকে অবৈধভাবে নানা তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন।
 এ তথ্য ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই নানা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই ফেসবুকের তথ্য হাতিয়ে রাজনৈতিক কাজে লাগায় যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ ঘটনা কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে।

এ নিয়ে ফেসবুকের ওপর ব্যবহারকারীদের আস্থার সংকট তৈরির পাশাপাশি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে সমালোচনা সইতে হচ্ছে। তাই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের প্ল্যাটফর্মে যতগুলো অ্যাপ তথ্য সংগ্রহ করে, সেগুলো তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল। ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে থাকা হাজারো অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে থেকে চার শতাধিক অ্যাপ সরিয়ে ফেলার ঘোষণা এসেছে। গতকাল বুধবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

ফেসবুকের প্রোডাক্ট পার্টনারশিপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইমি আর্চিবং এক ব্লগ পোস্টে বলেছেন, অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতা ও অ্যাপে তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়ার বিষয়টি উদ্বেগের কারণ হওয়ায় কয়েক শ অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক নেটওয়ার্কে থাকা অ্যাপ্লিকেশনগুলো সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির নিয়ে সমালোচনার পর থেকে গত মার্চ মাসে ফেসবুক তাদের অ্যাপ ইউনিট চালু করে।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে, তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ৮ কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়েছে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা এবং তা ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে কাজে লাগিয়েছে।

আর্চিবং জানিয়েছে, ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে থাকা মাইপার্সোনালিটি অ্যাপটি বন্ধ করা হয়েছে, কারণ তারা পরীক্ষা করতে সম্মতি দেয়নি। এ থেকে বোঝা যায়, তারা গবেষকদের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ন্যূনতম সুরক্ষা দিয়ে তথ্য বিনিময় করে। মাই পার্সোনালিটি অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত ৪০ লাখ ব্যবহারকারীকে বিষয়টি জানাবে ফেসবুক।

কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর ফেসবুক অ্যাপ থেকে তথ্য বিনিময়ের নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে।

আর্চিবং বলেন, ‘ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনার পাশাপাশি তদন্ত অব্যাহত রাখব।’

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের পক্ষ থেকে তথ্য সুরক্ষায় ব্যর্থতার দায়ে ফেসবুককে পাঁচ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা হয়। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর ফেসবুক বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাজ্যের ইনফরমেশন কমিশনার অফিস।

কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার পক্ষ থেকে সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠানটি দেউলিয়া হিসেবে আবেদন করেছে  ।